এবার চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিয়ে সালিস চলাকালে সাইমা আকতার (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মেরে নবজাতক সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী মোহাম্মদ ওসমান। আজ বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৬ জুলাই বিকেলে ভূমি বিরোধের জের ধরে উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দর্জি মোহাম্মদ ওসমান (২৩) ও আবুল হাশেমের পরিবারের সঙ্গে ভূমি বিরোধ নিয়ে সালিসে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আকস্মিকভাবে দর্জি মোহাম্মদ ওসমানের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি দেন প্রতিপক্ষের লোকেরা।
লাথি দেওয়ার এক পর্যায়ে ওই নারী মাটতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ জুলাই রাতে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। এই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী ১০ জুলাই বাদী হয়ে জুলধা এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. হেলাল, মো. লিটন ও মো. বেলালকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার বাদী মোহাম্মদ ওসমান বলেন, এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেটে যারা লাথি মারতে পারে তারা সাধারণ মানুষ হতে পারে না। ভুল করলে আমি করছি, আমার গর্ভবতী স্ত্রী করেনি। আমার সাত মাসের পেটের সন্তানের কি দোষ? তাকে কেন হত্যা করা হলো? আমার চাওয়ার কিছু নাই। শুধু চাই, এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, জুলধা ইউনিয়নে ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে সৃষ্ট ঝগড়াতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারা ও পরবর্তীতে মৃত সন্তান প্রসবের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৩১৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।